Home / অণুগল্প

অণুগল্প

হাসান- নামা – রঘুনাথ মণ্ডল

হাসান- নামা

  লোকটা ফস্‌ফস্‌ করে বিড়ি ফুঁকছিল। আমাকে দেখে মুখের বিড়িটা ফেলে দিয়ে বলল, “বাবু, ভালো আছেন?” চল্লিশ- বিয়াল্লিশ বয়স, ভাঙাচোরা এলোমেলো চেহারা, মুখে রুখো দাড়ি। রাস্তার পাশের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর যোগাড়ের কাজ করছে। আমার স্মৃতিশক্তি চিরকালই কমজোরি। হাঁ করে তাকিয়ে থাকা দেখেই লোকটি আবার বলে, “বাবু, আমি হাসান। টিনভাঙা, লোহাভাঙা, প্লাস্টিক …

Read More »

আত্মারামের বাসর যাপন – রঘুনাথ মণ্ডল

আত্মারামের বাসর যাপন

    আত্মারামের বিয়ে, কনে বিল্ববাসিনী। আগে আত্মারাম কনে দেখেনি। বাবা, মামা সম্বন্ধ করে ঠিক করেছেন। পাত্রী দেখে এসে বাবা বলেছিলেন, “আহাও নয়, ছিছিও নয়, চলনসই!” বরাসনে বসে থেকে আত্মারামের ঘুম পেয়ে গেল, কোমর কটমট। এক কাপ কড়া লিকার চা হলে বেশ হতো! বোশেখের শেষ রাতে লগ্ন। এখন খানা-পিনায় সব …

Read More »

খবরহীন – যশোবন্ত্ বসু

সবকিছুরই একটা শেষ আছে। মনোতোষেরও অবাক হওয়ার পালা শেষ হল। ওয়ান ফাইন মর্নিং মনোতোষ হঠাৎ আবিষ্কার করল, সে আর অবাক হচ্ছে না। ব্যাপারটা নির্জলা সত্যি। সংসার, সমাজ,দেশ সর্বত্র ঘটে-চলা নানাবিধ অভূতপূর্ব, অকল্পনীয়, অত্যাশ্চর্য ঘটনারাজি অথবা মনুষ্যকৃত নিদারুণ ভয়ঙ্কর, পৈশাচিক, নারকীয় কীর্তিকলাপ তার মনে আর বিন্দুমাত্র রেখাপাত করছে না। এক অদ্ভুত …

Read More »

লোনাজলের আঁকিবুঁকি – রঘুনাথ মণ্ডল

লোনাজলের আঁকিবুঁকি

  শেষ হেমন্তের পড়ন্ত বেলা। চারিদিকে ছড়ানো পলকা হলদে রোদ – আছে কিন্তু থাকবে না গোছের। ওরা দুজনে বসেছিল পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপের বাঁধানো চাতালে- সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনেই। অনঙ্গদা ও টগরপিসি। দু-একজন পাশ দিয়ে যেতে যেতে স্বভাব-ধর্মে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল কিন্তু তেমন কিছু মনে করছিল না। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে ওরা …

Read More »

জমানা – নির্মাল্য ঘরামী

উতলধারা/জমানা

    বুধু অবাক হয়ে ছেলে তিনটির দিকে তাকিয়ে ছিল। তখন বিকেল শেষ হয়ে সন্ধ্যা শুরু হবে প্রায়। মাঠের ধারে ঝাঁকড়া কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচে কিছুটা ছায়া মতন। এখন সন্ধ্যা নামায় সেখানে ছায়া ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এদিক সেদিক হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে সেখানে গিয়ে ঘাসে বসে পড়ল বুধু। আর তখনই নজরে …

Read More »

চাতকেরা- নির্মাল্য ঘরামী

চাতকেরা- নির্মাল্য ঘরামী

    জিভ দিয়ে ঠোঁটটা একবার চেটে নিল শাক্য। গরমও পড়েছে যথেষ্ট। কিন্তু তেষ্টা আর গরম কী শুধু এইরকমই হয়? বৃষ্টি নামবে কবে?   বৃষ্টি! বৃষ্টি! কী মিষ্টি এই নামটা! ওর দুষ্টু হাসির সঙ্গে একটু আদিম রসিকতা মাখানো নিষ্পাপ ধরনের কথাবার্তা, বঙ্কিম গ্রীবার চাহনি ওকে যে কী পরিমাণে আকর্ষণীয়া, আবেদনময়ী …

Read More »

জমানা- নির্মাল্য ঘরামী

উতলধারা/জমানা

  বুধু অবাক হয়ে ছেলে তিনটির দিকে তাকিয়ে ছিল। তখন বিকেল শেষ হয়ে সন্ধ্যা শুরু হবে প্রায়। মাঠের ধারে ঝাঁকড়া কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচে কিছুটা ছায়া মতন। এখন সন্ধ্যা নামায় সেখানে ছায়া ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এদিক সেদিক হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে সেখানে গিয়ে ঘাসে বসে পড়ল বুধু। আর তখনই নজরে এল …

Read More »

চানাচুরের স্বাদ- রঘুনাথ মণ্ডল

চানাচুরের স্বাদ/ রঘুনাথ মণ্ডল

    অনেক দিন পর শীলার সঙ্গে দেখা, তা প্রায় পঞ্চাশ বছর। হাইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। ও ছিল অঙ্কে কাঁচা কিংবা অঙ্ক কষার ঝামেলায় যেতে চাইত না। আমার খাতা থেকে বেমালুম টুকে স্যারকে দেখাতো, আর মাখন সাহার দোকান থেকে চানাচুর কিনে এনে খাওয়াতো। আঃ! কী স্বাদ! এখনও যেন লেগে আছে …

Read More »

শূন্য – নির্মাল্য ঘরামী 

শূন্য- নির্মাল্য ঘরামী

    এই সিন্দুক খোলা যায় না, শুধু একদিন ছাড়া।   সুন্দরবাবু আজ ধীরে ধীরে তাঁর সিন্দুকটি খুলে ফেললেন। তারপরে তাঁর জমানো সম্পত্তির হিসেব নিকেশ করতে বসলেন। অনেক কিছুই জমেছে এত গুলো বছরে। প্রথমেই একটা বড় শূন্য হাতে তুলে নিলেন। তারপরে আরো একটা। অনেক শূন্য আছে ভাঁড়ারে, এর যোগফল নিতান্ত …

Read More »

তপতীর পতিলাভ- রঘুনাথ মণ্ডল

অরিন্দমবাবুর মেয়ে তপতী ছোট থেকেই শিবঠাকুরের ভক্ত। কলেজে পড়ার সময় রথের মেলা থেকে কিনে এনেছে শিব ঠাকুরের মূর্তি। রোজ দুবেলা ঠাকুরকে ধূপ- সন্ধে দেখায়। খুব ভক্তি করে শিবরাত্রি ব্রত পালন করে। সারা দিন উপবাসী থেকে শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢালতে ঢালতে নিশ্চয়ই তপতী বলে, “ঠাকুর! আমাকে একটা মনের মত বর …

Read More »