Home / ছোটদের গল্প / আশমানি পাঠশালা – ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য্য

আশমানি পাঠশালা – ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য্য

আশমানি পাঠশালা
শিল্পী- পুণ্যতোয়া ধর

 

” ডান দিকটা একটু ওপরে উঠে গেছে। নামা। ব্যস, ঠিক আছে। এবার দড়িটা শক্ত করে বেঁধে দে। দেখিস খুলে না পড়ে যায়। যা হাওয়ার জোর!”

বুধো কাজ সেরে নারকেল গাছের গুঁড়ি বেয়ে তরতরিয়ে নেমে এলো নিচে। গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে কাজটা এতক্ষণ দেখভাল করছিল তারই বন্ধু নব। দুজনেই সুন্দরবনের সমুদ্র লাগোয়া গ্রাম বাসন্তী পুরের জিতেন্দ্রনাথ জুনিয়র হাই স্কুলের ক্লাস সেভেনের ছাত্র। নব আবার তাদের ক্লাসের ফার্স্ট বয়। লেখাপড়াতে বেশ চৌকস। তবে গায়ে গতরে জোর একটু কম। তাই সিলেবাসের বাইরে যে কোনো কাজে ভরসা তার ডাকাবুকো বন্ধু বুধো।

বাসন্তীপুরকে গ্রাম না বলে বিদ্যেধরী নদীর বুকে জেগে থাকা বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ বলাই ভালো। বুধো, নবদের স্কুল বলতে এখন যদিও আট দশটা খুঁটি, গোটা চারেক ভাঙা দেওয়াল আর এধার ওধার ছড়িয়ে থাকা দু একটা কাঠের টুকরো মাত্র। সেখানে এখন আর কেউ যায় না।

মাস্টারমশাইরাও ছুটি নিয়ে ফিরে গেছেন যে যার বাড়ি। মাসখানেক আগে এই সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক কালান্তক ঘূর্ণিঝড় এই অঞ্চলের প্রায় বেশিরভাগ গ্রামের মানুষগুলোকেই ধনে প্রাণে শেষ করে দিয়ে গেছে। শুধু বুধো, নবদের স্কুল নয়, কিছু পাকা বাড়ি বা অফিস বাদ দিলে গোটা গ্রামেরই সমস্ত বাড়ি কম বেশি ক্ষতির স্বীকার। পরিস্থিতির পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা থাকলেও সব জায়গায় নানান প্রতিকূলতার কারণে এখনো পৌঁছতে পারে নি সেই সাহায্য।

এও তেমনি এক অভাগা গ্রাম। তার মধ্যে নবদের অবস্থা আরো শোচনীয়। নবর বাবা বনে কাঠ কুড়োতে গিয়ে মাস দুয়েক আগেই মারা যায় সাপের কামড়ে। এখন বাড়িতে ছোট একটা বছর পাঁচেকের বোন আর মা ছাড়া তার আর নিজের বলতে কেউ নেই। এদিকে ঘরের জমানো টাকাও প্রায় শেষের মুখে। ঝড় এসে কেড়ে নিয়েছে শেষ সম্বলটুকু। এখন সরকারি বেসরকারি ত্রাণই সম্বল তাদের। তাতেই আধবেলা আধপেটা খেয়ে কোনো মতে বেঁচে আছে তিনটি প্রাণ।

গতকালই খেতে বসে নব লক্ষ্য করেছিল হাঁড়িতে তার আর তার বোনেরটুকু ছাড়া আর একদানাও ভাত নেই। নব মায়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো – ” এভাবে আর কদিন চলবে মা? আর কতদিনই বা তুমি না খেয়ে থাকবে?” মা মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে বলল -” তুই ভাবিস না এত। একশো দিনের কাজ করে যেটুকু টাকা জমাতে পেরেছিলাম, সেগুলো দিয়ে নয় কাল কালুর দোকান থেকে কিছু মুড়ি আর চাল নিয়ে আসিস কিনে। পঞ্চায়েত থেকে বলে গেছে পরশু থেকে রেশনে বিনি পয়সায় চাল দেবে। তেমনটা হলে আমাদের চিন্তা কিছু হলেও কমবে।” আর ঘরের কী হবে মা? মাথায় ওপর যে খোলা আকাশ!

মা চুপ করে থাকে। নব ভেবে কুল পায়না। ভাবতে ভাবতেই একসময় মাথায় আসে বুদ্ধিটা। মায়ের থেকে কোনো রকমে একটা ছেঁড়া শাড়ি নিয়ে, তার ওপর খানিক মাটি লেপে, কাঠ কয়লার গুঁড়ো দিয়ে বড় বড় করে লিখল –

“আনন্দ সংবাদ, আনন্দ সংবাদ!
ঝড় বৃষ্টিতে লেখাপড়া হবে না আর বরবাদ।
ষষ্ঠ শ্রেণী অব্দি সকল বিষয়ে আমি পারদর্শী।

শিক্ষক হিসেবে যত্ন সহকারে পড়াতে আগ্রহী।

বিদ্যালয় বন্ধ কিন্তু বিদ্যাচর্চা নয়,
এমন সুযোগ কি হেলায় হারাতে হয়?
যে যেখানে থাকো সেখানেই পারবে পড়তে,
রোগ বালাই বিপর্যয়ে থাকবে বাড়িতে।
সকলেই পড়বে বিজ্ঞান ভূগোল ইতিহাস।
মন দিয়ে পড়লে ,নিশ্চিত করবে পাশ। “

নব এরপর কাপড়খানা চড়চড়ে রোদে শুকিয়ে নিয়ে ছুটল গাঁয়ের প্রধানের বাড়ি। গাঁয়ের প্রধান শশধর বাবু রাজনীতি করলেও মানুষ মন্দ নন। তার রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও একটা পরিচয় আছে। তিনি হলেন এই গাঁয়ের নাম করা হাতুড়ে ডাক্তার। এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাশকরা ডাক্তার কোথায়ই বা পাবে লোকে? বিপদে অপদে শশধর বাবুই তাই ভরসা। রোগ জটিল হলে তবেই লোকে দূরের ব্লক প্রাথমিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে যায়। সে কারণে এ গাঁয়ে লোকে শশধর বাবুকে প্রধান কম, ডাক্তার হিসেবেই চেনে বেশি।

শশধর বাবু সবে তখন নেয়ে খেয়ে উঠেছেন, এমন সময়েই শুনলেন কেউ যেন বেশ ব্যস্তসম্মত ভাবে সদরে কড়া নাড়ছে আর শুধোচ্ছে -” জ্যাঠামশাই বাড়ি আছেন?” বাইরে বেরিয়ে নবকে দেখে ভাবলেন, বুঝি কোনো আপদ বিপদ হয়েছে। শুধোলেন,” কিরে, কার আবার কি হল?”

নব মুখ শুকনো করে বলল,” আমাদের আর কি খারাপ হবে জ্যাঠামশাই? আমাদের তো যা হবার হয়েই গেছে।”

শশধর বাবু উত্তর শুনে চুপ করে রইলেন। এইটুকু ছেলের ওপর দিয়ে এই ক’মাসে তো আর কম ঝড় যায়নি! নবই বললো আবার, “জ্যাঠামশাই একটা কথা ছিল। আপনি তো জানেন, আমাদের স্কুল ঝড়ের পর থেকেই বন্ধ। মাস্টারমশাইরাও দুর্যোগের আগাম খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ফিরে গেছেন যে যার বাড়ি। তার মধ্যে ঘরে ঘরে এখন রোগ বালাইয়ের জন্য লোকেও প্রয়োজন ছাড়া তেমন‌একটা কেউ বেরোয় না । ফলে পড়াশোনা তো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধই একপ্রকার। কারুরই জানা নেই পরিস্থিতি ঠিক হবে কবে। অথচ একথা বেশ বুঝতে পারছি, পড়াশোনা না করলে আমরা এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যতে কিছুই করে উঠতে পারবো না। এখানের মানুষগুলোকে সেই আমার বাবার মতই পেটের ভাত জোগাড় করতে গিয়ে বনের আধাঁরে, বাঘের পেটে, সাপের কামড়ে,কিংবা কুমিরের কামড়ে বিনা চিকিৎসায় অকালে মরতে হবে। জলের বুকে মাটি কামড়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর কথা হয় তো দেশের বাকি লোক এমনিই একদিন ভুলে যাবে। মানচিত্রে একটা সবুজ বৃত্ত থেকে ক্রমে বিন্দু হতে হতে একসময় মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে বিদ্যেধরীর নীল জলের সাথে।..” নব যত বলছিল ততই যেন ভবিষ্যতের কথা কল্পনা করে শিউরে উঠছিলেন শশধর। ঝড়ের ক্ষত তখনও বেশ দগদগে।

নবকে বাধা দিয়ে বললেন , “তোর কথা বুঝেছি নব। কিন্তু এই মুহূর্তে স্কুল তো খোলা সম্ভব নয় বাবা। তাহলে আর উপায় কি বল?”
নব একটু থেমে বলল, ” উপায় একটা আছে জ্যাঠামশাই আর সে বিষয়ে পরামর্শ করতেই আমার এত দূর ছুটে আসা।”
-“কী উপায়?”
-” আসলে জ্যাঠামশাই, বইপত্তর তো আমার প্রাণ। তাই রেডিওতে ঝড় আসবে শুনেই আমি আমার সব বইপত্র বাড়ির সামনের মাঠে, অশ্বত্থ গাছের মগ ডালের একটা বড়ো কোটরে রেখে এসেছিলাম। তার মধ্যে ছোটবেলা থেকে স্কুলে পাওয়া সব বইই ছিল। ঝড় থেমে যাবার পর গিয়ে দেখেছি গাছটার অনেক ডালপালা খসে পড়লেও কোটরে গুজে রাখা বইগুলোর কোনো ক্ষতি হয় নি। কিন্তু অনেকেই এই গাঁয়ে সেসব কিছুই ধরে রাখতে পারেনি। ভিটে মাটি হারিয়ে কয়েক শ মানুষ পঞ্চায়েত অফিসের দোতলায় আশ্রয় নিয়েছে। মাস কেটে গেলেও এখনো তাদের ঘরে ফেরা হয়ে ওঠে নি। এদের মধ্যেও তো স্কুলে পড়া অনেক ভাইবোন আছে। আমি ঠিক করেছি এই গাঁয়ের এমন সকল ভাই বোনদের নিজে পড়াবো। আপনি তো জানেন পড়ালেখায় আমি মন্দ নই। গতবছরও আপনার হাত থেকে প্রথম হবার পুরস্কারস্বরূপ মেডেল পেয়েছিলাম। আমার থেকে নিচু ক্লাসে যারা পড়ছে তাদের আমার পড়াতে কোনো অসুবিধা হবে না। আমার সব পড়া মনে আছে এখনো ভালো ভাবে।”

শশধর বাবু ভেবে বললেন, “সে তো ভালো প্রস্তাব নব”।
উৎসাহ পেয়ে নব, শশধর বাবুর চোখের সামনে মেলে ধরলো কাপড়খানা, যাতে আছে আজ দুপুরে লেখা সেই বিজ্ঞাপন। নব বলল, “জ্যাঠামশাই, আমি এটা রথতলার মাঠের গায়ে নারকেল গাছে বেঁধে দেবার ব্যবস্থা করছি। আপনিও জানিয়ে দিন সকলকে।”
শশধর বাবু পিঠ চাপড়ে দিয়ে বললেন, ” সত্যিই তুই তোর নামের মর্যাদা রেখেছিস। এমন নতুন কিছু ভাবতে তুইই পারিস। কজন আর তোর মত বয়সে জগৎ সংসারের কথা এত ভাবে বল। আমাদের মত যাদের ভাবা কাজ, তারাও তোর মত এমন মন থেকে দরদ দিয়ে ভাবতে পারে কই? যাই হোক, তোর প্রস্তাব তো ভালই কিন্তু কয়েকটা খটকা আছে মনে।
-” কী জ্যাঠামশাই?”
-” গাঁয়ের আকাশে দুর্যোগের মেঘ এখনো কাটেনি। তুই এই অবস্থায় ঘরে বসে পড়াবি কী করে? ছেলেপিলের তো বাড়ি একেক জনের একেক জায়গায়। তাদের এক জায়গায় আনলে তো অসুখবিসুখ ছড়ানোর ভয়। সেরকম কিছু হলে কিন্তু গাঁয়ের লোকে ছেড়ে কথা বলবে না, এ তোকে আগেই বলে রাখছি। আর তাছাড়া রাস্তাঘাটের অবস্থাও তো ভালো নয়।তারা এতদূর থেকে তো তোর কাছে রোজ পড়তে আসতে পারবে না।”
-“সে উপায়ও ভেবে রেখেছি জ্যাঠামশাই। আমাদের গায়ের পুবদিকে কারবালার মাঠে যে মসজিদ আছে, সেখানে প্রতিদিন আজান দেবার জন্য একটা মাইক আছে। আর দক্ষিণ দিকে সত্যপীড়ের থানে কীর্তন গাইবার একটি মাইক আছে। আপনি মসজিদের হাসান চাচা আর মন্দিরের ভট্টাচার্য পুরোহিতের সাথে কথা বলে রাখুন যে আজান আর কীর্তন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ছটা থেকে দুপুর বারোটা অব্দি মাইক দুটো ব্যবহার হবে গাঁয়ের ছেলেমেয়েদের পড়ানোর জন্য। আর আমার বাড়ি, পঞ্চায়েত অফিস আর গায়ের পাঁচ জায়গায় আরো কিছু চোঙা লাগিয়ে একটা বৈদ্যুতিন লাইনে যোগ করে দিন। তারপর আমি ঘরে বসে প্রতিদিন পড়াব আর বাকিরাও তাদের বাড়িতেই সেই পড়া শুনতে পাবে। প্রত্যেক ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ থাকবে প্রতিদিন একটি করে ঘন্টা।
-“সাবাশ নব। তোর ইচ্ছেশক্তি আর বুদ্ধিকে তারিফ না করে পারছি না। একদিন তুই অনেক বড় হবি, দেখিস। এমনি করেই দেশ আর দশের মুখোজ্জ্বল করবি। আমি দেখছি কতটা কী করা যায়। আজই জনাব হাসান আলি আর ভট্টাচার্য পুরোহিতের সাথে কথা বলছি।
-“আশীর্বাদ করুন জ্যাঠামশাই। তবে আমার একখান শর্ত আছে। শুনেছি, গুরুদক্ষিণা না নিলে নাকি বিদ্যাশিক্ষা সম্পন্ন হয় না। তাই আমিও কিন্তু গুরুদক্ষিণা চাই।”
শশধর বাবু খানিক ইতস্তত করে বললেন -“সে তো ঠিক আছে কিন্তু তোকে তো পড়ুয়াদের মা বাবারা পয়সাকড়ি কিছু দিতে পারবে বলে মনে হয় না। একে তো তুই নিজেই ছোটো। তোকে শিক্ষক হিসেবে সমীহ করবে তখনই, যদি তুই এদের ভালো করে পড়িয়ে মন জয় করতে পারিস। তার ওপর এখানে বেশিরভাগ ঘরই অভাবী। দিন আনে দিন খায়। আর এখন তো অবস্থা আরো সঙ্গীন। কি করে তোকে পয়সা দেবে? স্কুলে পড়তেই তো পয়সা দিতে হয় নি কোনোদিন। ”
-“সে জন্যই তো আমি অন্যভাবে গুরুদক্ষিণা নেবো।”
-” মানে?”
-” মানে আপনি আর গাঁয়ের মাথারা সকলে নিজেদের সামর্থ্য মত ছাত্র পিছু সামান্য কিছু করে খাবার বা কাপড়চোপড় বা ইট বালি মুদির দোকান কিংবা তাঁতির কাছে কিংবা ধরুন ইমারতি ভান্ডারে আমার নামে খাতায় জমা রাখতে বলবেন। এই কাজের জন্য শুধু এটুকুই সাম্মানিক হিসেবে নেবো। না হলে মা, বোন সকলকে নিয়ে আমাদের পথে বসতে হবে। আপনারা গাঁয়ের মাথা, জনপ্রতিনিধি। এটুকু খরচা জনগণের স্বার্থে করতেই পারেন। লোকে আজকাল আর ধার বাকিতে জিনিস দিতে চায় না।”
শশধর বাবু হেসে বললেন, “তোর এটুকু মাথায় এত বুদ্ধি ধরিস! আচ্ছা বেশ, আমি কথা বলে নিচ্ছি গাঁয়ের মাতব্বরদের সাথে। আশা করি অসুবিধে হবে না। তুই প্রস্তুতি শুরু করে দে।
আশীর্বাদ করি তুই আর তোর ছাত্ররা সকলেই মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠ।”
-” তাই যেন হয় জ্যাঠামশাই। আমি তবে আসি”, বলেই নব এরপর বুধোকে নিয়ে সোজা ছুটল রথতলার মাঠে। সেখানে পাশাপাশি দুটো নারকেল গাছে টাঙিয়ে দিল হাতে লেখা ফেস্টুন। দিন তিনেকের মধ্যে শশধর বাবুও প্রতিশ্রুতি মত সেরে ফেললেন সব কাজ।

চতুর্থ দিন ভোরবেলা সকাল ছটার সময় হঠাৎই গাঁয়ের বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত থেকে লাগিয়ে দিয়ে যাওয়া মাইক বেজে উঠল। ঘুম ভেঙে জেগে উঠল সারা গ্রাম। শোনা গেলো নবর গলা – ” নমস্কার আজ এখন থেকে বাসন্তীপুরে শুরু হচ্ছে আশমানি পাঠশালা। আমি এই পাঠশালার শিক্ষক হিসেবে সকল ভাই বোনদের অনুরোধ করছি বই খাতা নিয়ে প্রস্তুত থাকার জন্য। আজকের বিষয় বাংলা। প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী অব্দি আমি পড়াব। এক ঘন্টা ধার্য থাকবে এক একটি শ্রেণীর জন্য। এখন আমি পড়াব তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা। আজকের বিষয় – ছন্দের যাদুকর কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা কবিতা ‘ দেশের মাটি ‘…।”

……0……

Leave a comment

Check Also

একুশে ফেব্রুয়ারি

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো : একটি গান ও দুই বাংলার মিলনসেতু – বদরুদ্দোজা হারুন

[ভাষা শহীদ আবুল বরকতের ৯৬ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে লেখা l]   “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো …

মৃত্যুর কবিতারা- সুদীপ্ত বিশ্বাস

১ লাশ কাটা ঘর – সুদীপ্ত বিশ্বাস একদিন আমার বদলে বিছানায় শুয়ে থাকবে আমার লাশ। …

দর্পণে

দর্পণে – নির্মাল্য ঘরামী    

    -চল, আমি জোরের সঙ্গে বললাম, -ওসব একদম ভাবিস না। তোকে এতদিন পরে পাচ্ছি, …

মহাশিল্পী রবিশংকর : ভারতের মোৎসার্ট – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

  বিশ্বের সংগীতপ্রেমীদের কাছে রবিশংকর ও মোৎসার্ট দু’টি নামই সুপরিচিত। উভয়েই বহুশ্রুত হলেও সংগীতের গভীরে …